বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে প্রবল জোয়ারের চাপে পদ্মার অংশের বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে প্রায় আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে এবং ১০টি মৎস্যঘের পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের বেড়িবাঁধে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় দেখা যায়, বেড়িবাঁধের পদ্মা গ্রাম সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর পানি আমাবস্যার কারণে বেড়ে যাওয়ায় নদীর পাশের বেড়িবাধের প্রায় এক কিলোমিটার ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এ সময় পানি ঢুকে মাছের ঘের ও বসতবাড়ি তলিয়ে যায়। এতে পদ্মা ও রুহিতা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
স্থানীয় আব্দুর রহিম, জয়নাল, আব্দুর রাজ্জাক জানান, বাধঁটি অনেক আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিছুদিন ধরে পানি খুব বেড়ে গেছে, অমাবস্যার প্রভাব পরায় হঠাৎ আজ দুপুরের দিকে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে এই এলাকার কয়েকটি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে, তাছাড়া অনেক মৎস্য ঘের আমন ধানের বিজতলা পানিতে তলিয়ে যায়। এই বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে আমাদেরকেও বলেশ্বর নদীর জোয়ারে পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, সরেজমিন আছি, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। যেভাবে পানির চাপ তাতে রাতের মধ্যেই কয়েক কিলোমিটার ভেঙ্গে যাবে। ইতোমধ্যে বেশকিছু বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকেছে।
এ বিষয়ে পানিউন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আলমগীর জানান, অতিবৃষ্টি, আমাবস্যার প্রভাব ও লঘুচাপে বাতাসের কারণে হঠাৎ পানি বেড়ে গেছে, তাই এই ভাঙ্গন হয়েছে। এই এলাকার পাঁচটি স্পটে ভেঙ্গে গেছে আমি সরেজমিনে আছি। এখানে কিছু পয়েন্টে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছিল। যে এলাকা বিলীন হয়ে গেছে সেখানে আজই বস্তার মধ্যে মাটি ভরে পানি ওঠা বন্ধ করার চেষ্টা করছি।
Leave a Reply