ছোটপর্দার এ প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আরশ খান। অভিনয়ে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়েই শোবিজ দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন; যার শুরুর দিন-কালটা ছিল অনেক কষ্টের, সংগ্রামের। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- ফয়সাল আহমেদ
ঘুরে-ফিরে কিছু প্রযোজক ও নির্মাতার কাজই করেন। এর কি বিশেষ কোনো কারণ আছে?
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যারা আমাকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করেছেন, এখনও তারাই আমাকে নিয়ে নির্মাণ করছেন। যাদের হাত ধরে এতদূর এসেছি, তাদের সঙ্গেই কাজ করছি। প্রযোজক-পরিচালক যেমন চাননি আমাকে রিপ্লেস করতে, তেমনি আমিও চাইনি তাদের রিপ্লেস করতে।
নির্মাতা ও প্রযোজকের কাছে এখন ভরসার নাম আরশ- এটাই কি প্রাপ্তি?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে দর্শকের ভালোবাসা। আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া। নিজের অবস্থান নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট। একদিন অভিনেতা হব, অভিনয়ের দুনিয়ায় কাজ করব- এই স্বপ্নটা ছিল। যে কারণে শুরুতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, অনেক শ্রম দিতে হয়েছে; কিন্তু কেন যেন ব্যাটে-বলে মিলছিল না। হতাশ না হয়ে আরও উদ্যমী হয়ে এগিয়ে গিয়েছি। আজ যতটকুই অবস্থান, এর নেপথ্যে ডে ওয়ান থেকে আজ অবধি যারা আমার সঙ্গে ছিলেন তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তারা আমার পাগলামি মেনে নিয়ে কাজ করেছেন, এখনও তারাই সঙ্গে আছেন। কারণ আমি কোনো স্বার্থের জন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াইনি। আমি নিজের কাছে স্বচ্ছ। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, কারণ তারা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়ে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। আমাকে আরও বহুদূর যেতে হবে, যে স্বপ্ন নিয়ে এসেছি, সেটার শতভাগ পূরণ করতে হবে।
স্বপ্নটা কী?
সেটি তো বলা যাবে না। স্বপ্নের কথা নিজের মধ্যেই রাখতে হয়। আর চেষ্টা করতে হয় বাস্তবে রূপ দেওয়ার।
দর্শক ভালোবাসা মানে আপনার ভক্ত। ভক্তদের নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা আছে?
অনেক আছে। কারণ আমার দর্শক একটু আমার মতোই! অন্যদের থেকে আলাদা। এমনও হয়েছে ভক্তরা আমাকে পেয়ে কাঁধে তুলে আনন্দিত হয়েছেন। ঢাকার বাইরে দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শক এসেছেন শুটিং দেখতে। বরিশালে একবার এত ভক্ত আমাকে দেখার জন্য আমার শুটিংয়ে যাওয়ার গাড়ির সামনে ভোর থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে আমাকে পালিয়ে বাইকে করে শুটিং লোকেশনে যেতে হয়েছিল। তবে এমন অভিজ্ঞতা এখন প্রায়ই হয়। এই ভক্তরাই আমার সেরা অর্জন। এমন ভক্ত থাকলে যে কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে কোন নাটক দিয়ে দর্শকের সাড়া পেলেন?
সকাল আহমেদের একটি নাটক দর্শকের মধ্যে ভীষণ সাড়া ফেলেছে। নাটকটি হচ্ছে- ‘প্রথম হারালো মন’। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জিম। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ‘না বলা কিছু কথা’, ‘অ্যান্টিক পিস’, ‘দোষটা কার’, ‘হৃদয়ে ফাগুন’, ‘তুই আমার হয়ে যা’, ‘যত্ন’, ‘পাখিগো নাম ধরে ডাকো’, ‘পাজর’, ‘তুমি আমার জান’, ‘যে প্রেম অন্তরে’, ‘তুমি ফুলের মতো’, ‘তুমি ফুল নাকি ভুল’, ‘ছেলে মানুষী’, ‘গার্লফ্রেন্ডের প্রতিশোধ’, ‘জীবন সাথী’, ‘একদিন তুমি বুঝবে’ নাটকগুলো শুনেছি সাধারণ মানুষ বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখেছেন।
Leave a Reply